পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ কোনটি?
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ হল আফ্রিকা মহাদেশ।
আফ্রিকা মহাদেশের সীমা এবং বিস্তার লেখ।
আফ্রিকা মহাদেশ ৫১°২৪’ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ১৭°৩৩’ পশ্চিম দ্রাঘিমা এবং ৩৭°২০’ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ৩৪°৫২’ দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে বিস্তৃত।
আফ্রিকা মহাদেশের পূর্বে লোহিত সাগর ও ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তরে ভূমধ্যসাগর ও দক্ষিণে ভারত মহাসাগর অবস্থিত।
Read– ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় সম্বন্ধীয় কিছু প্রশ্ন।
অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ কাকে বলে?
পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমি সাহারা মরুভূমি, গভীরতম দুর্ভেদ্য কঙ্গো অববাহিকার নিরক্ষীয় বনভূমি, অস্বাস্থ্যকর উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু, হিংস্র জন্তুর ভয় ইত্যাদি কারণের জন্য বহুদিন পর্যন্ত আফ্রিকা মহাদেশে আধুনিক সভ্যতার আলো এসে পৌঁছাতে পারেনি,এইজন্য এই মহাদেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ বলা হয়।
ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের মাঝে কোন প্রণালী অবস্থিত?
ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের মাঝে জিব্রাল্টার প্রণালী অবস্থিত।
এশিয়া মহাদেশ এবং আফ্রিকা মহাদেশকে আলাদা করেছে কোন সাগর?
এশিয়া মহাদেশ এবং আফ্রিকা মহাদেশকে লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল আলাদা করেছে।
আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিমে কী অবস্থিত?
আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিমে আটলাস পর্বতমালা অবস্থিত।
আটলাস পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি?
আটলাস পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম হল মাউন্ট তৌবকল (৪১৬৫ মিটার)।
আটলাস পর্বতমালার দক্ষিণ দিকে কোন মরুভূমি অবস্থিত?
আটলাস পর্বতমালার দক্ষিণ দিকে পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমি সাহারা মরুভূমি অবস্থিত।
সাহারা মরুভূমির সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি?
সাহারা মরুভূমির সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম টিবেস্টির এমিকৌসি(৩৪১৫ মিটার)।
পৃথিবীর বৃহত্তম গ্ৰস্ত উপত্যকার নাম কী?
আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে পৃথিবীর বৃহত্তম গ্ৰস্ত উপত্যকা The Great Rift Valley।
গ্ৰস্ত উপত্যকার কিছু হ্রদের নাম লেখ।
গ্ৰস্ত উপত্যকার হ্রদগুলি দৈর্ঘ্য ও গভীরতা অনেক বেশি। এখানকার কিছু হ্রদের নাম হল টাঙ্গানিকা, মালাউই, রুডল্ফ, অ্যালবার্ট ইত্যাদি।
আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি?
আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম হল মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো (৫৮৯৫ মিটার)।
✓ নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থিত হলেও মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় সারাবছর এর চূড়ায় বরফ জমে থাকে।
আফ্রিকার উচ্চ মালভূমিতে অবস্থিত তৃণাঞ্চল গুলিকে কী বলে?
আফ্রিকার উচ্চ মালভূমিতে অবস্থিত তৃণাঞ্চল গুলিকে ভেল্ড বলে।
আফ্রিকার একেবারে দক্ষিণ-পূর্বে কী অবস্থিত?
আফ্রিকার একেবারে দক্ষিণ-পূর্বে ড্রাকেন্সবারগ পর্বতমালা অবস্থিত।
পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর নাম কী?
পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর নাম হল আফ্রিকার নীলনদ(৬৬৫০ মিটার)।
নীলনদের কয়টি ধারা ও কি কি?
নীলনদের প্রধান দুটি ধারা আছে। যথা-
একটি হল হোয়াইট নীল, যার উৎস আফ্রিকার বিখ্যাত বুরুন্ডি মালভূমি।
অপরটি হল ব্লু নীল, যার উৎস ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি।
✓ উত্তর সুদানের রাজধানী খার্তুম শহর হল এই দুটি ধারায় মিলনস্থল।
পৃথিবীর বৃহত্তম নদী মধ্যস্থ বাঁধ এর নাম কি?
পৃথিবীর বৃহত্তম নদী মধ্যস্থ বাঁধ এর নাম হল নীলনদের ওপর অবস্থিত আসোয়ান বাঁধ।
কোন কোন দেশের মধ্য দিয়ে নীলনদ প্রবাহিত হয়েছে?
নীলনদ সাতটি দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভূমধ্যসাগরে পড়েছে। দেশগুলি হল –
- বুরুন্ডি
- রোয়ান্ডো
- তাঞ্জানিয়া
- উগান্ডা
- সুদান
- ইথিওপিয়া
- মিশর।
Oil River কাকে বলে?
নাইজেরিয়ার উৎপাদিত খনিজ তেল ও পায় তেল নাইজার নদীর মাধ্যমে রপ্তানি হয় বলে নাইজার কে Oil River বলে।
শটস কাকে বলে?
আফ্রিকার লবণাক্ত জলের হ্রদ শটস নামে পরিচিত।
আফ্রিকার দেশ সংখ্যা কয়টি?
আফ্রিকায় মোট ৫৬ টি দেশ আছে।
আফ্রিকার কয়েকটি বিখ্যাত শহরের নাম লেখ।
আফ্রিকার কয়েকটি বিখ্যাত শহরের নাম হল কায়রো, আলেকজান্দ্রিয়া, খার্তুম, ত্রিপলী ইত্যাদি।
আফ্রিকার প্রাচীনতম ভাষা কী?
আফ্রিকার প্রাচীনতম ভাষা হল শোয়াহিলি।
Read– পৃথিবীর পরিক্রমন সম্বন্ধীয় সংক্ষীপ্ত প্রশ্ন
আফ্রিকা মহাদেশে উপকূল অঞ্চলে উষ্ণ ও শীতল স্রোতের প্রভাব আলোচনা কর।
- শীতল কানাড়ী সমুদ্র স্রোতের প্রভাবে আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিম উপকূল ভাগ শীতল থাকে।
- শীতল বেঙ্গুয়েলা স্রোতের প্রভাবে আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল ভাগ ও শীতল থাকে।এই দুই শীতল সমুদ্র স্রোতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ুতে খুব বেশি পরিমাণে জলীয়বাষ্প থাকে না।
- উষ্ণ মোজাম্বিক স্রোতের প্রভাবে এই মহাদেশের দক্ষিণ- পূর্ব উপকূল ভাগ উষ্ণ হয়ে ওঠে। এছাড়াও এই উষ্ণ স্রোতের উপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ুতে জলীয় বাষ্প বেশি থাকে।যা এই অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাত ঘটায়।