ইউরোপ মহাদেশ সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী।

ইউরোপ মহাদেশ সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী এই লেখাটিতে আলোচনা করা হল। সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আশা করি এগুলি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। তোমরা নিজেরা মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্রশ্নগুলো তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো।
ইউরোপ মহাদেশ সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী।

ইউরোপ মহাদেশের অবস্থান ও সীমা লেখ

অবস্থান:

35° উত্তর অক্ষাংশ থেকে 71° উত্তর অক্ষাংশ এবং 24° পশ্চিম দ্রাঘিমা থেকে 65° পশ্চিম দ্রাঘিমা।

সীমা:

পূর্বে এশিয়া ও কাস্পিয়ান সাগর, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর, বিস্কে উপসাগর, উত্তর সাগর, উত্তরে সুমেরু মহাসাগর, শ্বেত সাগর, বাল্টিক সাগর এবং দক্ষিণে জিব্রাল্টার প্রণালী, ভূমধ্যসাগর, কৃষ্ণ সাগর।

ইউরোপ মহাদেশের আয়তন কত?

ইউরোপ মহাদেশের আয়তন 1কোটি 9 লক্ষ বর্গ কিলোমিটার।

ইউরোপ মহাদেশের মোট দেশের সংখ্যা কত?

ইউরোপ মহাদেশের মোট দেশের সংখ্যা 54 টি।

ইউরোপ মহাদেশের কয়েকটি বিখ্যাত শহরের নাম লেখ।

ইউরোপ মহাদেশের কয়েকটি বিখ্যাত শহরের নাম হল – লন্ডন, প্যারিস, আমস্টারডাম, রোম, মাদ্রিদ, বার্লিন।

ইউরোপ পৃথিবীতে আয়তনে কত তম মহাদেশ?

আয়তনে ইউরোপ পৃথিবীর ষষ্ঠ তম মহাদেশ।

জিব্রাল্টার প্রণালী কোন মহাদেশ দুটিকে আলাদা করেছে?

জিব্রাল্টার প্রণালী আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশ দুটিকে আলাদা করেছে।

পৃথিবীর সর্বাধিক উত্তরের রাজধানী কোনটি?

ইউরোপ মহাদেশের আইসল্যান্ডের রেইকজাবিক পৃথিবীর সর্বাধিক উত্তরের রাজধানী।

ইউরোপের সর্বাধিক সরলবর্গীয় বৃক্ষের দেশ কোনটি?

সুইডেন ইউরোপের সর্বাধিক সরলবর্গীয় বৃক্ষের দেশ।

ইউরোপের একটি পুনঃরপ্তানিকারী বন্দর কোনটি?

ইউরোপের একটি পুনঃরপ্তানিকারী বন্দর হল লন্ডন।

ইউরোপের বৃহত্তম হ্রদের নাম লেখ।

ল্যাডোগা(18,130 বর্গ কিলোমিটার) ইউরোপের বৃহত্তম হ্রদ।

হ্রদের দেশ কাকে বলে?

ফিনল্যান্ডকে হ্রদের দেশ বলে।

ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি?

ককেশাস পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এলবুর্জ (5642 মিটার) ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।

ইউরোপের দীর্ঘতম নদীর নাম লেখ।

ভলগা (3690 মিটার) ইউরোপের দীর্ঘতম নদী।

আল্পস পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি?

মাউন্ট ব্ল্যাঙ্ক (4807 মিটার) আল্পস পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।

ইউরোপ মহাদেশের কয়েকটি আগ্নেয়গিরির নাম লেখ।

ইতালির ভিসুভিয়াস, নিপারী দ্বীপের স্ট্রম্বলি, সিসিলি দ্বীপের এটনা, আইসল্যান্ডের মাউন্ট হেকলা প্রভৃতি।

ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদীর নাম কি?

দানিয়ুব ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী।

ইউরোপের রুটির ঝুড়ি কাকে বলে?

ইউক্রেনকে ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলে।

ইউরোপ তথা পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্রের নাম কি?

ইউরোপ তথা পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্রের নাম ভ্যাটিকান সিটি।

ইউরোপের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাগরের নাম লেখ।

ইউরোপের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাগরের নাম হল – 

উত্তর সাগর, বাল্টিক সাগর, শ্বেত সাগর, ভূমধ্যসাগর।

ইউরোপের একটি স্তূপ পর্বতের নাম লেখ।

ইউরোপের একটি স্তূপ পর্বতের নাম হল ব্ল্যাক ফরেস্ট।

‘ভূমধ্যসাগরের আলোকস্তম্ভ’ বা ‘Lighthouse of The Mediterranean Sea’ কাকে বলে?

মাউন্ট স্ট্রম্বলিকে ‘ভূমধ্যসাগরের আলোকস্তম্ভ’ বা ‘Lighthouse of The Mediterranean Sea’ বলে।

ইউরোপের প্রধান একটি মৎস্য শিকার কেন্দ্রের নাম লেখ।

ইউরোপের প্রধান একটি মৎস্য শিকার কেন্দ্রের নাম হল ডগারস ব্যাঙ্ক।

ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নদীর নাম লেখ।

ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নদীর নাম হল পো, টাইবার, রোন, ভিশ্চুলা, রাইন, টেমস।

ইউরোপের নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি কী নামে পরিচিত?

ইউরোপের নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমিকে স্টেপ বলা হয়।

ইউরোপের কয়েকটি বিচ্ছিন্ন মালভূমির নাম লেখ।

ইউরোপের কয়েকটি বিচ্ছিন্ন মালভূমি হল স্পেনের মেসেতা, ফ্রান্সের সেন্ট্রাল ম্যাসিফ, রাশিয়ার ডন ম্যাসিফ ইত্যাদি।

ইউরোপ মহাদেশের সমৃদ্ধির কারণ লেখ।

ইউরোপ মহাদেশের সমৃদ্ধির কারণ নিম্নে আলোচনা করা হল – 

  • উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করে অর্থাৎ ইউরোপ মহাদেশ বাকি মহাদেশগুলির মধ্যবর্তী অংশ অবস্থিত হওয়ায় বাকি মহাদেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যবসাবাণিজ্য প্রভৃতিতে সুবিধা হয়।
  • এই মহাদেশের তিনদিকে জলভাগ থাকায় এখানকার জলবায়ুর প্রকৃতি সমভাবাপন্ন নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির হয়। জলবায়ু আরামদায়ক হওয়ায় অধিবাসীরা কর্মঠ ও পরিশ্রমী হয়। ফলে শিল্পের অগ্ৰগতি হয়।
  • উত্তর উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে এখানে উত্তর-পশ্চিমের বন্দরগুলি শীতকালেও বরফমুক্ত থাকে। ফলে জাহাজ চলাচল, মৎস্য আহরণ প্রভৃতি কাজে বাঁধার সৃষ্টি হয় না। 
  • এখানে মগ্নচড়াগুলিতে প্রচুর পরিমাণে মৎস্য উৎপাদন হয় এবং বাণিজ্যিক ভাবে প্রচুর পরিমাণে মৎস্য আহরণ করা হয়।
  • ইউরোপে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করা হয়, এছাড়া মিশ্র কৃষি ব্যবস্থায় প্রচুর ফসল উৎপাদন করা হয়। খাদ্য শস্য উৎপাদন, পশুপালন প্রভৃতি কাজ এখানে দক্ষতার সাথে ও আধুনিক ভাবে করা হয়।
  • ইউরোপ মহাদেশে খনিজ সম্পদের প্রাচুর্যতা খুব বেশি। এছাড়া অচিরাচরিত শক্তি যেমন – জলবিদ্যুৎ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ এর ব্যবহার বেশি করা হয়। 
  • মহাদেশের মধ্যে এবং বাইরে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত মানের তাই, আভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে অনেক উন্নত। ইউরোপ মহাদেশকে পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা শিল্পোন্নত মহাদেশ বলে।
  • এখানে অনেকটা এলাকা জুড়ে সরলবর্গীয় বৃক্ষের বনভূমি থাকায় বনভূমি থেকে কাষ্ঠ সংগ্ৰহে সুবিধা হয়। এখানকার নরম কাঠ থেকে কাগজ উৎপাদন করা হয়, এছাড়া আসবাবপত্র, বাড়িঘর প্রভৃতি তৈরি করা হয়। তাই এখানে কাষ্ঠ শিল্প খুবই উন্নত।

This post was updated on 2023-02-22 17:57:57.

Leave a Comment

error: Content is protected !!