ওশিয়ানিয়া সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী।

ওশিয়ানিয়া সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী এই লেখাটিতে আলোচনা করা হল। অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আশা করি এগুলি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। তোমরা নিজেরা মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্রশ্নগুলো তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো।
ওশিয়ানিয়া সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী।

ওশিয়ানিয়ার অক্ষাংশগত অবস্থান লেখ।

উত্তরে 15° উত্তর অক্ষাংশ (হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের উত্তরসীমা) থেকে দক্ষিণে 47° দক্ষিণ অক্ষাংশ (নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ সীমা) আর পশ্চিমে 114° পূর্ব দ্রাঘিমা (অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম সীমা) থেকে 134° পশ্চিম দ্রাঘিমা (গ্যাম্বিয়ার দ্বীপপুঞ্জ) পর্যন্ত বিস্তৃত। 

আয়তনের দিক থেকে ওশিয়ানিয়া কততম মহাদেশ?

আয়তনের দিক থেকে ওশিয়ানিয়া পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ।

ওশিয়ানিয়ার লোকসংখ্যা কত?

ওশিয়ানিয়ার লোকসংখ্যা প্রায় 3,51,62,670 (2011 সাল)।

ওশিয়ানিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি?

ওশিয়ানিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম হল – পাপুয়া নিউগিনির মাউন্ট উইলহেলম(4509 মিটার)।

ওশিয়ানিয়ার দীর্ঘতম নদীর নাম কি?

ওশিয়ানিয়ার দীর্ঘতম নদীর নাম হল – অস্ট্রেলিয়ার মারে ডার্লিং (3375 কিমি)।

ওশিয়ানিয়ার মোট দেশের সংখ্যা কত?

ওশিয়ানিয়ায় সার্বভৌম দেশের সংখ্যা – 14, নির্ভরশীল অঞ্চলের সংখ্যা – 21।

এখানকার বৃহত্তম রাষ্ট্রের নাম কি?

এখানকার বৃহত্তম রাষ্ট্রের নাম অস্ট্রেলিয়া।

এখানকার ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্রের নাম কি? 

এখানকার ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্রের নাম নাউরু।

ওশিয়ানিয়ার ভাষা সংখ্যা কটি?

ওশিয়ানিয়ার ভাষা সংখ্যা 28টি।

ওশিয়ানিয়ার প্রধান প্রধান শহরের নাম লেখ।

ক্যানবেরা, সিডনি, মেলবোর্ন, পারথ, অ্যাডিলেড, হোবার্ট(অস্ট্রেলিয়া), ওয়েলিংটন, অকল্যান্ড (নিউজিল্যান্ড), পোর্ট মোরেসবি(পাপুয়া নিউগিনি)।

পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল প্রাচীর কোথায় অবস্থিত?

গ্ৰেট বেরিয়ার রিফ(2000 কিমি) নামক প্রবাল প্রাচীরটি পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল প্রাচীর। এটি অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত।

ওশিয়ানিয়া তথা পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয়গিরির নাম কি?

হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনালয়া ওশিয়ানিয়া তথা পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয়গিরি।

অস্ট্রেলিয়ার একটি ভঙ্গিল পর্বতের নাম কি?

অস্ট্রেলিয়ার পূর্বদিক বরাবর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত গ্ৰেট ডিভাইডিং রেঞ্জ একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।

অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি?

অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম হল নিউইংল্যান্ড রেঞ্জের মাউন্ট কোসিয়াস্কো (2228 মিটার)।

অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি মরুভূমির নাম লেখ।

অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের মাঝে কয়েকটি মরুভূমি দেখা যায়, সেগুলি হল ভিক্টোরিয়া, গিবসন, গ্ৰেটস্যান্ডি।

অস্ট্রেলিয়ার মরু অঞ্চলের লবণাক্ত জলের হ্রদকে কি বলা হয়?

অস্ট্রেলিয়ার মরু অঞ্চলের লবণাক্ত জলের হ্রদকে প্লায়া  বলা হয়।

নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি?

নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম মাউন্ট কুক(3724 মিটার)।

নিউজিল্যান্ডের একটি বিখ্যাত সমভূমির নাম কি?

নিউজিল্যান্ডের একটি বিখ্যাত সমভূমির নাম ক্যান্টারবেরি সমভূমি।

নিউজিল্যান্ডের দুটি আগ্নেয়গিরির নাম লেখ।

নিউজিল্যান্ডের দুটি আগ্নেয়গিরির নাম হল মাউন্ট এগমন্ট, রুহাপেহু।

নিউজিল্যান্ডের প্রধান প্রধান নদ-নদীর নাম লেখ।

নিউজিল্যান্ডের প্রধান প্রধান নদ-নদীর নাম হল ওয়াইটাকি, ক্লথ, ওয়ানগামুই, টায়েরি প্রভৃতি।

ওশিয়ানিয়ার কয়েকটি আগ্নেয়দ্বীপের নাম লেখ।

ওশিয়ানিয়ার কয়েকটি আগ্নেয়দ্বীপের নাম হাওয়াই, সলোমন, ফিজি, তাহিতি প্রভৃতি।

ওশিয়ানিয়ার কয়েকটি অন্তর্বাহিনী নদীর নাম লেখ।

ওশিয়ানিয়ার কয়েকটি অন্তর্বাহিনী নদীর নাম হল হান্টার, ফ্রিজয়, ব্রিসবেন, কুপার, আয়ার।

অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে বেলেপাথরে গঠিত যে শিলা দেখা যায়, তার নাম কি?

অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে বেলেপাথরে গঠিত যে শিলা দেখা যায়, তার নাম আয়ার রক।

পার্কল্যান্ড সাভানা কী?

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে ক্রান্তীয় তৃণভূমির কম বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে বড়ো বড়ো ঘাস জন্মায়। অস্ট্রেলিয়ার এই অঞ্চল ‘পার্কল্যান্ড সাভানা’ নামে পরিচিত।

‘ডাউনস তৃণভূমি’ কাকে বলে?

অস্ট্রেলিয়ার গ্ৰেট ডিভাইডিং রেঞ্জের পশ্চিমদিকে মারে ডার্লিং অববাহিকায় ছোটো ছোটো ঘাসের বিশাল তৃণভূমি দেখা যায়। এই তৃণভূমি ‘ডাউনস’ নামে পরিচিত।

কাকে ‘রূপোর শহর’ বলে?

ব্রোকেনহিল শহরকে ‘রূপোর শহর’ বলে।

কাকে ‘দ্বীপের দেশ’ বলা হয়?

নিউজিল্যান্ডকে ‘দ্বীপের দেশ’ বলা হয়।

জ্যাকোস কাকে বলে?

মারে ডার্লিং অববাহিকার পশুখামারগুলি খুব বড়ো বড়ো হয়। এইসব বৃহৎ পশুখামারের কর্মরত শ্রমিকদের জ্যাকোস বলে। 

আঞ্চলিক বিভাগ অনুসারে ওশিয়ানিয়াকে কতগুলি ভাগে ভাগ করা হয়?

আঞ্চলিক বিভাগ অনুসারে ওশিয়ানিয়াকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা –

1. অস্ট্রেলেশিয়া:

             অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডকে একসঙ্গে বলে অস্ট্রেলেশিয়া। ‘অস্ট্রাল’ কথার অর্থ ‘দক্ষিণ’ এবং ‘এশিয়া’ কথার অর্থ ‘দেশ’। সুতরাং অস্ট্রেলেশিয়া কথার অর্থ ‘দক্ষিণের দেশ’। এই অঞ্চলটি ওশিয়ানিয়া মহাদেশের প্রায় 90% স্থান দখল করে আছে।

2. মেলানেশিয়া:

          ‘মেলানেশিয়া’ শব্দের অর্থ ‘কালো ভূখন্ড বা দেশ’। এখানকার অধিবাসীদের শরীরে মেলানিনের আধিক্যের জন্য এরা কৃষ্ণকায় হয়, তাই এই অঞ্চলের নাম মেলানেশিয়া। পাপুয়া নিউগিনি, সলোমন, ফিজি, নরফোক, নিউ ক্যালিডোনিয়া, নিউ হেব্রিডিজ প্রভৃতি দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে মেলানেশিয়া অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।

3. মাইক্রোনেশিয়া:

          ‘মাইক্রো’ শব্দের অর্থ ‘ক্ষুদ্র’ অর্থাৎ ক্ষুদ্র দ্বীপসমূহ নিয়ে মাইক্রোনেশিয়া গঠিত। মেলানেশিয়ার উত্তর-পূর্ব দিকে নিরক্ষরেখা ও কর্কটক্রান্তি রেখার স্থানে মাইক্রোনেশিয়া অবস্থিত। গুয়াম, মার্শাল, নাউরু, কিরিবাটি, নর্দান মারিয়ানা প্রভৃতি ছোটো ছোটো দ্বীপ নিয়ে গঠিত। মাইক্রোনেশিয়ার সব দ্বীপগুলিই প্রবাল দ্বীপের অন্তর্গত।

4. পলিনেশিয়া:

             ‘পলি’ শব্দের অর্থ’বহু’। ওশিয়ানিয়া মহাদেশের একেবারে পূর্ব দিকের দ্বীপসমূহ পলিনেশিয়া নামে পরিচিত। হাওয়াই, টোঙ্গা, কুক, ইস্টার, পিটকেয়ার্ন, তাহিতি, সামোয়া প্রভৃতি দ্বীপসমূহ নিয়ে গঠিত। 

This post was updated on 2023-02-22 17:57:47.

Leave a Comment

error: Content is protected !!