কার্পাস উৎপাদনে অনুকূল ভৌগলিক পরিবেশের বর্ণনা দাও।

 এই নিবন্ধে 10 শ্রেণী থেকে ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন (কার্পাস উৎপাদনে অনুকূল ভৌগলিক পরিবেশের বর্ণনা) আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশ্ন এবং উত্তরগুলি সাবধানে পড়ুন কারণ এটি আপনার পরীক্ষায় আসতে পারে। নির্বিশেষে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর আপনার বন্ধু এবং সহপাঠীদের সাথে শেয়ার করুন

ভূমিকা:

         কার্পাস তুলা ও উপক্রান্তীয় অঞ্চল এর ফসল। ভারতের প্রধান তন্তু ফসল তুলা। তুলা উৎপাদনে প্রয়োজনীয় ভৌগোলিক অবস্থা গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল-

  • অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ:

      1. উষ্ণতা:

                    উষ্ণ আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত সূর্যকিরণ তুলা চাষের পক্ষে আদর্শ। তুলা চাষের জলবায়ুর গুরুত্ব খুব বেশি।তুলা চাষের জন্য গড়ে 20 ডিগ্রী থেকে 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতার প্রয়োজন।

      2. বৃষ্টিপাত:

                      বার্ষিক 50 থেকে 100 সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত তুলা চাষের পক্ষে উপযোগী।অবশ্য উত্তর- পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে জল সেচের মাধ্যমে 50 সেন্টিমিটার এর কম বৃষ্টিপাত যুক্ত এলাকায় তুলো চাষ করা।

      3. তুহিন মুক্ত অবস্থা:

                           অত্যাধিক শীত ও তুহিন তুলা চাষের পক্ষে ক্ষতিকারক। তুলা উৎপাদনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে 200 টি তুহিন মুক্ত দিনের প্রয়োজন হয়।

      4. মৃত্তিকা:

                     উর্বর লবণাক্ত, হালকা চুন মিশ্রিত দোআঁশ মাটি তুলা চাষের পক্ষে আদর্শ।ভারতের রেগুর মৃত্তিকা ও পলি মৃত্তিকা তে তুলা চাষ হয়ে থাকে।ভারতের দাক্ষিণাত্যের কৃষ্ণ মৃত্তিকা কার্পাস চাষের জন্য বিখ্যাত বলে একে কৃষ্ণ কার্পাস মৃত্তিকা বলে।

      5. ভূপ্রকৃতি:

                     গাছের গোড়ায় জল জমে থাকা তুলা গাছের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই জল নিকাশি ব্যবস্থা যুক্ত মৃদু ঢালু বা সমতল ভূমি তুলা চাষের পক্ষে আদর্শ।

  • অনুকূল অর্থনৈতিক পরিবেশ:

      1. শ্রমিক:

                   তুলা চাষের জন্য জমি তৈরি,আগাছা পরিষ্কার করা,গাছ লাগানো,গাছের পরিচর্যা করা,গুটি তোলা,আশ ছাড়ানো প্রতিটি কাজের জন্য প্রচুর দক্ষ ও শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।

       2. সার ও কীটনাশক:

                               তুলা চাষে জমির উর্বরতা খুব তাড়াতাড়ি কমে যায়। তাই জমিতে সার দেওয়া আবশ্যক।তুলা গাছে পোকামাকড়ের উপদ্রব খুব বেশি। বিশেষ করে বল উইভিল ও পিঙ্কবোলো ওয়ার্ম নামে এক ধরনের পোকা তুলা গাছের খুব ক্ষতি করে। এজন্য প্রতি মাসে কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।

       3. মূলধন:

                    সার,কীটনাশক, উচ্চফলনশীল বীজ, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি,জলসেচ,শ্রমিক মজুরি,পরিবহন প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রচুর মূলধন এর প্রয়োজন হয়।

       4. পরিবহন:

                      তুলা রপ্তানি করা ও কারখানায় তুলা আনার জন্য উপযুক্ত সুলভ পরিবহন ব্যবস্থা থাকা দরকার।

       5. চাহিদা ও বাজার:

               তুলা থেকে বস্ত্র তৈরি করে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা হয়। ভারতে তৈরি সুতি বস্ত্রের চাহিদা সারা বিশ্বে জুড়ে সমাদৃত।

কার্পাস উৎপাদনে পৃথিবীতে ভারতের স্থান কত?

কার্পাস উৎপাদনে পৃথিবীতে ভারতের স্থান তৃতীয়।

ভারতের কার্পাস গবেষণাগার কোথায় অবস্থিত?

ভারতের কার্পাস গবেষণাগার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে অবস্থিত।

ভারতের মধ্যে তুলা উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকারী রাজ্য কোনটি?

ভারতের মধ্যে তুলা উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকারী রাজ্য হচ্ছে গুজরাট।

কয়েকটি উন্নত তারপর নিজের নাম লেখ।

কয়েকটি উন্নত কার্পাস বীজ এর নাম হলো – MCV-5, MCV-4 ,সুজাতা।

নমস্কার , আমরা দেবলীনা ও শুভদীপ । আমি ওয়েবসাইটের লেখক, আমি ভূগোলে স্নাতক করেছি। আমার উদ্দেশ্য শিক্ষক এবং ছাত্র উভয়ের জন্য ভূগোলের গুণমান নোট এবং উপাদান শেয়ার করা এবং আমার দিক থেকে সর্বোপরি সাথে থাকা।

Leave a Comment

error: Content is protected !!