পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পের সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত এই লেখাটিতে আলোচনা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এর অন্তর্গত নবম শ্রেণী এর জন্য এই প্রশ্নটিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পের সমস্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর এখানে পেয়ে যাবে। লেখা টি মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং নিজের উত্তর তৈরি করো। নিজের বন্ধুদেরকে জানাও যাতে তারাও পরীক্ষায় সুন্দরভাবে গুছিয়ে উত্তর লিখতে পারে।
ভূমিকা:
1. কাঁচা পাটের অভাব:
2. বিকল্প দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি:
3. পুরোনো যন্ত্রপাতি ব্যবহার:
4. অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ:
5. আন্তর্জাতিক বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা:
6. অধিক রপ্তানি শুল্ক:
7. শ্রমিক অসন্তোষ:
8. অন্যান্য সমস্যা:
- মূলধন বিনিয়োগে অনীহা
- হুগলি নদীর নাব্যতা হ্রাস
- কারখানাগুলির পরিকাঠামোগত সমস্যা
- জমির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি
প্রকৃতি কারণে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্প সমস্যায় জর্জরিত।
পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পের সম্ভাবনা গুলি আলোচনা করো।
পাট শিল্পের সমস্যা গুলি ওপর গুরুত্ব দিলে এই শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উজ্জল পাটশিল্পের উন্নতি করতে হলে নিম্নোক্ত কারণগুলি হল-
- পাটের বিকল্প হিসেবে অধিকাংশ দ্রব্য, যেমন-নাইলন,পলিথিন প্রভৃতি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশ বান্ধব নয়।কিন্তু পাটজাত দ্রব্য পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্য সহায়ক হওয়ায় ভবিষ্যতে পরিবেশ সচেতন মানুষের কাছে পাটজাত দ্রব্যের বিশেষ কদর আছে।
- পটশিল্পের উন্নতির জন্য রাজ্যের চালু পাটকলগুলো আধুনিকীকরণ করা প্রয়োজন।
- পাট থেকে চট,থলে, দড়ি প্রভৃতি চিরাচরিত সামগ্রীর উৎপাদনের পাশাপাশি বেশি করে নিত্য নতুন সামগ্রী, যেমন- ঘর সাজানোর উপকরণ, কাগজ, বস্ত্র প্রভৃতি উৎপাদনের ওপর জোর দিতে হবে।
- কৃত্রিম তন্তুজাত প্যাকিং দ্রব্যের মূল্য অধিক, তাই পাটজাত দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় ও রপ্তানি শুল্কহ্রাস করতে পারলে আন্তর্জাতিক বাজার দখল করা পুনরায় সম্ভবপর হবে।
সুতরাং উন্নত মানের পাট উৎপাদন করে পাটের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি করে এবং সর্বোপরি পাটজাত দ্রব্যের মধ্যে বৈচিত্র এনে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে পাট শিল্পের ভবিষ্যৎ অবশ্যই উজ্জ্বল।