যোগাযোগ ব্যবস্থা কাকে বলে? আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ধারণা দাও।

যোগাযোগ ব্যবস্থা কাকে বলে এবং আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ধারণা এই লেখাটিতে আলোচনা করা হল। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আশা করি এগুলি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। তোমরা নিজেরা মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্রশ্নগুলো তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো।

যোগাযোগ ব্যবস্থা:

বৈজ্ঞানিক গিনসন ও ব্যালেন্স যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেছেন – “শব্দ, চিঠিপত্র, খবরের সংকেত প্রভৃতির আদান প্রদান, যার সহায়তায় একজন অপরজনের সঙ্গে কিংবা এক সংস্থা অপর সংস্থার সদস্যদের সাথে ভাবনাচিন্তা ও তথ্যের আদান প্রদান করে।”

আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা:

ডাক ব্যবস্থা:

এটি প্রাচীন পদ্ধতি। খ্রিস্টপূর্ব 900 সালে চীনে এই ব্যবস্থা প্রথম চালু হয়। ভারতে 1766 সালে ডাক ব্যবস্থা শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম ডাক পরিষেবা ব্যবস্থা চালু রয়েছে ভারতে। দেশে বর্তমানে প্রায় 1.56 লক্ষ ডাকঘর রয়েছে এবং স্পিড পোস্ট, এক্সপ্রেস পোস্ট, বিজনেস ও মিডিয়া পোস্ট, স্যাটেলাইট পোস্ট প্রভৃতি ডাক ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

টেলিফোন:

1875 খ্রিস্টাব্দে আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল টেলিফোন আবিষ্কার করেন। এর ফলে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সরাসরি ও তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ সম্ভব হয়ে ওঠে।

মোবাইল ফোন:

উপগ্রহ ব্যবস্থার মাধ্যমে ফোন বা সেলফোনের সাহায্যে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যায়। মোবাইল ফোন থেকে SMS, MMS করা যায়। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মোবাইল ফোনের সাহায্যে যোগাযোগ করে।

ফ্যাক্স:

টেলিফোন যোগাযোগ বিশিষ্ট দুটি স্থানে ফ্যাক্স মেশিনের সাহায্যে নথিপত্র, এমনকি চিত্রসহ বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে। এটি ফ্যাক্স বা টেলিফ্যাক্স নামে পরিচিত।

ইন্টারনেট:

সমগ্র বিশ্বজুড়ে একাধিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ ব্যবস্থাকে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বলে। পৃথিবীর সব কম্পিউটারকে টেলিফোন লাইনের সাহায্যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এক সূত্রে যুক্ত করার নামই হলো ইন্টারনেট। ভারতে 1970 সালে Educational Research Networks সর্বপ্রথম এই পরিষেবাটি চালু করেন। এই ব্যবস্থা প্রচলনের জন্য শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, ব্যবসা ও রাজনৈতিক জগৎ বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে।

E-mail:

ই-মেইল হল ইলেকট্রনিক্স মেইল বা বৈদ্যুতিন ডাক ব্যবস্থা। সাধারন ডাক ব্যবস্থার মতোই এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে পাঠানো বৈদ্যুতিন চিঠি পত্র। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে প্রাপকের একটি স্বতন্ত্র ইমেইল আইডি নম্বর থাকা দরকার, যে নম্বর বা ঠিকানা অন্য কারোর থাকবে না। পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকে চিঠি বা সংবাদ পাঠানো হোক না কেন তা এই ঠিকানাতে পৌঁছে যায়। ফলে প্রাপক মুহূর্তের মধ্যে উত্তর পাঠাতে পারবে।

✓ আউট সোর্সিং:

তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের কাজ বিদেশ থেকে ইন্টারনেট মারফত আসে। তাই যে কোনো দেশে বসে যেকোনো দেশের কাজ করা যায়। কোনো দেশ বিদেশের কাজ করে পুনরায় বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। এই প্রক্রিয়াকে অপেক্ষাকৃত কম মজুরিতে কোনো দেশে এই কাজ করানো হয়।

This post was updated on 2023-02-22 17:56:31.

নমস্কার , আমরা দেবলীনা ও শুভদীপ । আমি ওয়েবসাইটের লেখক, আমি ভূগোলে স্নাতক করেছি। আমার উদ্দেশ্য শিক্ষক এবং ছাত্র উভয়ের জন্য ভূগোলের গুণমান নোট এবং উপাদান শেয়ার করা এবং আমার দিক থেকে সর্বোপরি সাথে থাকা।

Leave a Comment

error: Content is protected !!