সামুদ্রিক মৎস্যের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।

সামুদ্রিক মৎস্যের শ্রেণিবিভাগ এই লেখাটিতে আলোচনা করা হল। একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আশা করি এটি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। তোমরা নিজেরা মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্রশ্নগুলো তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো। তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন কমেন্ট করে জানাতে পারো।

সামুদ্রিক মৎস্যের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।

Read- ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্য সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী।

ভূমিকা:

অবস্থান ও বন্টন অনুসারে সামুদ্রিক মৎস্য প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত। নীচে ভাগগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হল –

1. পিলেজিক মৎস্য:

সমুদ্রজলের উপরের অংশে বসবাসকারী মাছগুলিকে পিলেজিক মাছ বলা হয়। উপকূল ও গভীর সমুদ্র উভয়েরই জলের উপরিতলে মাছ বসবাস করে। অধিকাংশ মাছে স্নেহজাতীয় পদার্থের পরিমাণ বেশি এবং খেতে অতি সুস্বাদু হয়।

বৈশিষ্ট্য:

1. পিলেজিক মৎস্য আকারে ছোটো হয়, লম্বায় মাত্র 20-40 cm।

2. এরা সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি বড়ো বড়ো ঝাঁকে বিচরণ করে।

3. এই মৎস্যগুলি সাধারণত পরিযায়ী স্বভাবের হয়।

4. এদের প্রধান খাদ্য প্লাঙ্কটন।

যেমন – হেরিং, ম্যাকারেল, সার্ডিন, মেনহাডেন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য পিলেজিক মৎস্য।

2. ডেমার্সাল মৎস্য:

মাছ সমুদ্রের গভীর জলে বসবাস করে তাদের দে মার্শাল মাছ বলে। নৈসো কন্যা মহিলার অংশে সমুদ্রের গভীরে ভূমি বরাবর এসব মাছ বিচরণ করে এরা সমুদ্র জলের অধিক চাপ সহ্য করতে সক্ষ।

বৈশিষ্ট্য:

1. সমুদ্রের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার গভীরে ডেমোর্সেল মার্চ বিচরণ করে।

2. এই ধরনের মৎস্য গুলি দলবদ্ধভাবে না থেকে একক ভাবে ঘুরে বেড়ায়।

3. এই ধরনের মৎস্য গুলি আকারে বড় হয়, প্রায় 1.5 মিটার কিন্তু চ্যাপ্টা প্রকৃতির হয়।

4. এই মাছগুলি সমুদ্রের ছোট ছোট মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে।

যেমন – কড, হ্যাডক, ফ্ল্যাটফিশ, হ্যালিবাট প্রভৃতি।

প্রকারভেদ:

ডেমার্সাল মাছকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা –

a. বেন্থিক মাছ:

এগুলি গভীর সমুদ্রের পাথর, বালি, কাদার মধ্যে থাকে। উদাহরণ – টারবাট, হ্যালিবাট প্রভৃতি।

B. বেন্তোপিলেজিক মাছ:

গভীর সমুদ্রভূমির একটু উপরে থাকে। উদাহরণ – কড, র‍্যাটাটেল প্রভৃতি।

Read- হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপের বর্ণনা দাও।

3. ডায়াড্রোমাস মৎস্য:

যেসব মাছ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রজননগত ও বেড়ে ওঠার কারণে আংশিকভাবে সমুদ্রের নোনা জলে এবং আংশিক নদীর মিষ্টি জলে বসবাস করে তাদের মাছ বলে।

প্রকারভেদ:

এই মাছ দু প্রকারের হয়। যথা –

a. অ্যানাড্রোমাস মাছ:

যে সকল মাছ বছরের অধিকাংশ সময় সমুদ্রের উপকূল ভাগে বসবাস করে, কিন্তু একটি বিশেষ সময়ে (বর্ষার সময়) নদীর মাধ্যমে স্থলভাগের অভ্যন্তরে স্বাদু জলে চলে আসে তাদের অ্যানাড্রোমাস বা ঊর্ধ্বগামী মৎস্য বলা হয়।

যেমন ইলিশ, স্যামন ইত্যাদি।

b. ক্যাটাড্রোমাস মাছ:

যেসব মাছ বেশিরভাগ সময় নদীর মিষ্টি জলে কিংবা নদীর মোহনা থেকে উর্ধ্বপ্রবাহে হালকা নোনা জলে বসবাস করে বড় হয় এবং ডিম পাড়ার জন্য সমুদ্রে আসে এবং জন্মগ্রহণ করে তাদের ক্যাটাড্রোমাস মাছ বলে।

যেমন – ইল মাছ, মুলেট, ক্রোকিং ইত্যাদি।

Read- ভাঁজ কাকে বলে? ভাঁজের শ্রেণীবিভাগ কর ও বর্ণনা দাও।

This post was updated on 2023-02-22 17:57:10.

নমস্কার , আমরা দেবলীনা ও শুভদীপ । আমি ওয়েবসাইটের লেখক, আমি ভূগোলে স্নাতক করেছি। আমার উদ্দেশ্য শিক্ষক এবং ছাত্র উভয়ের জন্য ভূগোলের গুণমান নোট এবং উপাদান শেয়ার করা এবং আমার দিক থেকে সর্বোপরি সাথে থাকা।

Leave a Comment

error: Content is protected !!