ভারতের গন্ডোয়ানা ও টার্শিয়ারি যুগের কয়লাক্ষেত্রের অবস্থান লেখ।

ভারতের গন্ডোয়ানা ও টার্শিয়ারি যুগের কয়লাক্ষেত্রের অবস্থান এই লেখাটিতে আলোচনা করা হল। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আশা করি এগুলি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। তোমরা নিজেরা মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্রশ্নগুলো তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো। তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন কমেন্ট করে জানাতে পারো।

Read- ভারতের খনিজ সম্পদ সম্পর্কিত অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী।

ভারতের গন্ডোয়ানা ও টার্শিয়ারি যুগের কয়লাক্ষেত্রের অবস্থান লেখ।

গন্ডোয়ানা যুগের কয়লাক্ষেত্র:

ভারতের মোট কয়লার সম্পদের প্রায় 98% গণ্ডোয়ানা যুগের। প্রায় 250 মিলিয়ন বছর আগে ভূগর্ভে এই কয়লার স্তর গড়ে ওঠে। এই কয়লার বেশিরভাগই বিটুমিনাস প্রকৃতির এবং এর তাপ উৎপাদন ক্ষমতা যথেষ্ট বেশি। ভারতের বেশকিছু নদী অববাহিকায় গণ্ডোয়ানা যুগের কয়লা পাওয়া যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

1. দামোদর অববাহিকা:

এখানকার প্রধান প্রধান খনি গুলি হল –

  • পশ্চিমবঙ্গের রানীগঞ্জ, আসানসোল, অন্ডাল, দিসেরগড়, জামুরিয়া ও বাঁকুড়া জেলার মেজিয়া।
  • ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া, বোকারো, করণপুরা, গিরিডি, রামগড়, ডালটনগঞ্জ, রাজমহল প্রভৃতি।

2. ওড়িশার মহানদী উপত্যকা:

এখানকার উল্লেখযোগ্য খনি গুলি হল তালচের, রামপুর, হিঙ্গার।

3. ছত্রিশগড় মধ্যপ্রদেশের মহানদী ও শোন নদী অববাহিকা:

কোরবা, চিরিমিরি, তাতাপানি, শোনহাট, উমেরিয়া, সিঙ্গারাউলি, কোটমা, সোহাগপুর, বিশ্রামপুর, পেঞ্চ – কানহান, রায়গড় প্রভৃতি খনি উল্লেখযোগ্য।

4. মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা ও ওয়েনগঙ্গা অববাহিকা:

ওয়ার্ধা অববাহিকার চন্দ্রপুরা, বল্লারপুর, নাগপুর, ওয়ানি, চান্দা, তান্দুর, প্রভৃতি এবং হোয়েন গঙ্গা উপত্যকার কাম্পতি প্রভৃতি খনি উল্লেখযোগ্য।

5. তেলেঙ্গানার গোদাবরী অববাহিকা:

উল্লেখযোগ্য বয়লা ক্ষেত্র গুলি হল – অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের অন্তগাঁও, ভেঙ্কটপুর, তান্ডুর, রামাগুন্ডাম, সিঙ্গারেনি, ইয়েলান্ডু, কামারাম প্রভৃতি।

6. অন্যান্য:

এছাড়া ভারতের অন্যান্য কয়লাক্ষেত্র গুলি হল –

  • নর্মদা উপত্যকার কাম্পতি ও উমরের।
  • পশ্চিমবঙ্গের বক্সাদুয়ার।
  • গুজরাটের ঘুনেরি।
  • উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর প্রভৃতি।

Read- দুর্যোগ ও বিপর্যয় সম্পর্কিত কিছু অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী।

টার্শিয়ারি যুগের কয়লাক্ষেত্র:

প্রায় সাত থেকে আট কোটি বছর আগে পর্বতের উত্থানের সময় এই কয়লা তৈরি হয়। প্রচন্ড ভয়ংকর জন্য এই কয়লার স্তর গুলি দুমড়ে মুচড়ে একেবারে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এইজন্য খনিগুলিও খুব ছোট এবং ছড়ানো। এই কয়লা নিকৃষ্ট লিগনাইট প্রকৃতির হয় এবং তাপ উৎপাদন ক্ষমতা কম হয়। ভারতের মাত্র ২% কয়লা এই শ্রেণীর। টার্শিয়ারি যুগের উল্লেখযোগ্য কয়লা খনিগুলির নাম নীচে আলোচনা করা হল –

1. অসমের মাকুম ও মিকির পাহাড়।

2. নাগা ভূমির উত্তরাংশ।

3. অরুণাচল প্রদেশ।

4. পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এর কাছে বাগরাকোট ও কালিম্পং অঞ্চল।

5. সিকিমের রঙ্গিত উপত্যকা।

6. জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ, থিরপুর উধম।পুর।

7. অনুষ্ঠানের বিকানীর জেলার পালান এলাকা।

8. গুজরাটের কচ্ছ ও ব্রোচ।

9. তামিলনাড়ুর দক্ষিণ আর্কট জেলার নেভেলি (ভারতের বৃহত্তম লিগনাইট খনি)।

This post was updated on 2023-02-22 17:57:07.

নমস্কার , আমরা দেবলীনা ও শুভদীপ । আমি ওয়েবসাইটের লেখক, আমি ভূগোলে স্নাতক করেছি। আমার উদ্দেশ্য শিক্ষক এবং ছাত্র উভয়ের জন্য ভূগোলের গুণমান নোট এবং উপাদান শেয়ার করা এবং আমার দিক থেকে সর্বোপরি সাথে থাকা।

Leave a Comment

error: Content is protected !!