টীকা লেখ: OPEC এবং মুম্বাই হাই

OPEC এবং মুম্বাই হাই সম্পর্কে এই লেখাটিতে আলোচনা করা হল। একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আশা করি এগুলি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। তোমরা নিজেরা মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্রশ্নগুলো তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো। তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন কমেন্ট করে জানাতে পারো।

Read- আটলান্টিক মহাসাগরের সমুদ্রস্রোতের ব্যাখ্যা কর।

টীকা লেখ: OPEC এবং মুম্বাই হাই

OPEC:

পুরো নাম:

OPEC এর পুরো নাম ‘Organization of Petroleum Exporting Countries’

গঠনকাল:

পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির সমন্বয়ে 1960 সালে 4ঠা সেপ্টেম্বর এই সংস্থাটি গঠিত হয়।

সদর দপ্তর:

OPEC এর সদর দপ্তর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে অবস্থিত।

OPEC গোষ্ঠীভুক্ত দেশ সমূহ:

  • 1960 – ইরাক, ইরান, কুয়েত, ভেনেজুয়েলা, সৌদি আরব।
  • 1961 – কাতার।
  • 1962 – ইন্দোনেশিয়া, লিবিয়া।
  • 1967 – UAE (United Arab Emirates)।
  • 1969 -আলজিরিয়া।
  • 1971 – নাইজেরিয়া।
  • 1973 – ইকুয়েডর, গ্যাবন।

বর্তমানে ইরাক ও ইকুয়েডর সদস্যপদ ত্যাগ করায় মোট সদস্য সংখ্যা 11 টি।

উদ্দেশ্য:

  1. সদস্যভুক্ত দেশগুলির বাণিজ্যিক স্বার্থ সংরক্ষিত করা।
  2. সদস্য দেশগুলির মধ্যে তেলের উৎপাদন মূল্য ও রপ্তানি সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ করা।
  3. আন্তর্জাতিক বাজারে খনিজ তেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখা।
  4. আন্তর্জাতিক বাজারে খনিজ তেলের জোগান নিয়ন্ত্রণ রাখা।
  5. সদস্য দেশগুলির মধ্যে খনিজ তেল সম্পর্কিত নীতির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা।

OPEC এর গুরুত্ব:

  • সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
  • পৃথিবীর মোট তেল সঞ্চয়ের 70%, মোট উৎপাদনের 75% এবং মোট রপ্তানির 80% নিয়ন্ত্রণ করে OPEC গোষ্ঠী।

Read- সামুদ্রিক মৎস্যের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।

মুম্বাই হাই:

অবস্থান:

মুম্বাই হাই তৈল ক্ষেত্রটি মহারাষ্ট্রের উপকূলে মুম্বাই বন্দর থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আরব সাগরের মহিসোপনে অবস্থিত।

বিস্তৃতি:

এই তৈলবাহী শিলাস্তরটি সমুদ্রগর্ভে ২০০০ কিলোমিটার ব্যাপী বিস্তৃত।

সঞ্চিত তেলের পরিমাণ:

এই সিরাজ তরে সঞ্চিত খনিজ তেলের পরিমাণ প্রায় 12.5 কোটি মেট্রিক টন। এটি ভারতের একক সঞ্চয় হিসেবে সর্বাধিক এবং এই অঞ্চল থেকে ভারতের মোট খনিজ তেল উত্তোলনের 6.5% উত্তোলিত হয়।

আবিষ্কার:

১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে ONGC এর প্রচেষ্টায় মুম্বাই হাই খনিটি আবিষ্কার হয়।

উত্তোলক খনি:

এখানকার প্রধান প্রধান খনি গুলো হল – হীরা, পান্না, রত্না, গান্ধার, নিলম, দরিয়া ইত্যাদি।

উত্তোলন:

বর্তমানে মুম্বাই হাই তৈলক্ষেত্র থেকে সাগর সম্রাট ও সাগর বিকাশ নামক দুটি ভাসমান জাহাজ থেকে তেল উত্তোলন করা হয়। 2012 সালে এই অঞ্চল থেকে 1.62 কোটি টন তেল উত্তালিত হয়েছে।

গুরুত্ব:

মুম্বাই হাই তৈল ক্ষেত্রটি আবিষ্কারের পর বিদেশ থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। এছাড়া এদেশের শিল্পায়ন ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতিতে এখানকার খনিজ ব্যবহৃত হয়।

This post was updated on 2023-02-22 17:56:56.

নমস্কার , আমরা দেবলীনা ও শুভদীপ । আমি ওয়েবসাইটের লেখক, আমি ভূগোলে স্নাতক করেছি। আমার উদ্দেশ্য শিক্ষক এবং ছাত্র উভয়ের জন্য ভূগোলের গুণমান নোট এবং উপাদান শেয়ার করা এবং আমার দিক থেকে সর্বোপরি সাথে থাকা।

Leave a Comment

error: Content is protected !!