সম্পদ বলতে কী বোঝো? সম্পদের শ্রেণীবিভাগ কর।

সম্পদ বলতে কী বোঝো এবং সম্পদের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে এই লেখাটিতে আলোচনা করা হল। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আশা করি এগুলি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। তোমরা নিজেরা মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্রশ্নগুলো তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো। তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন কমেন্ট করে জানাতে পারো।

সম্পদ

সম্পদের সংঞ্জা:

  • বিখ্যাত জার্মান অধ্যাপক ই.ডবল্যু.জিমারম্যান এর মতে – “সম্পদ কোনো বস্তু বা পদার্থ কে বোঝায় না কোন বস্তু বা পদার্থের কার্যকারিতা বা ক্রিয়া প্রণালী, যা মানুষের অভাব মোচন করে, মানুষকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণের সাহায্য করে এবং মানুষের চাহিদা মেটায়।”
  • এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সোশল সাইন্স-এ সম্পদ সম্বন্ধে বলা হয়েছে – “সম্পদ হল মানুষের পরিবেশের সেই সমস্ত বিষয় যেগুলি মানুষের চাহিদা পূরণ করে ও সামাজিক উদ্দেশ্য সাধন করে, অথবা যেগুলির চাহিদা পূরণ ও উদ্দেশ্য সাধনের সম্ভাবনা রয়েছে।”
  • 1992 খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে অনুষ্ঠিত বসুন্ধরা সম্মেলনে সম্পদ সম্পর্কে বলা হয় – “যে কোনো বস্তু যা তার কার্যকারিতার মাধ্যমে মানুষের চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে জীবমন্ডলের সংরক্ষণকেও সুনিশ্চিত করে তাকে সম্পদ বলে গণ্য করা উচিত।”

সম্পদের শ্রেণীবিভাগ কর।

সম্পদের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ভিত্তিতে সম্পর্কে মূলত সাত ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

a. সম্পদ সৃষ্টির উপাদান অনুসারে:

প্রাকৃতিক সম্পদ: সূর্যরশ্মি, জল, খনিজ পদার্থ, মাটি ইত্যাদি।

মানবিক সম্পদ: শ্রমিকের কর্মদক্ষতা, জনসংখ্যা, মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ইত্যাদি।

সংস্কৃতিক সম্পদ: শিক্ষা, বিজ্ঞান, চেতনা, প্রকৌশল, কারিগরি দক্ষতা।

b. সম্পদের জৈবিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে:

জৈব সম্পদ: দুগ্ধ, পশম, মৎস্য, কাঠ ইত্যাদি।

অজৈব সম্পদ: অক্সিজেন, আকরিক লোহা, জল ইত্যাদি।

c. সম্পদের স্থায়িত্ব বা ক্ষয়িষ্ণুতার তারতম্য অনুসারে:

সঞ্চিত বা গচ্ছিত বা ক্ষয়িষ্ণু বা অপুনর্ভব সম্পদ: খনিজ তেল, কয়লা, তামা, লোহা।

প্রবাহমান বা পুনর্ভব বা অফুরন্ত সম্পদ: সৌরশক্তি, জোয়ার-ভাটা শক্তি, বায়ু শক্তি ইত্যাদি।

d. সম্পদের বন্টন বা অবস্থান অনুসারে:

সর্বোচ্চ প্রাপ্ত সম্পদ: বায়ুমন্ডলের অক্সিজেন, জল, সূর্যকিরণ ইত্যাদি।

সহজলভ্য সম্পদ: জল, মাটি, বায়ু, কৃষিজমি ইত্যাদি।

দুষ্প্রাপ্য সম্পদ: টিন, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি।

অদ্বিতীয় সম্পদ: গ্রিনল্যান্ডের ক্রায়োলাইট।

e. সম্পদের অধিকার বা মালিকানা অনুসারে:

ব্যক্তিগত সম্পদ: বাড়ি, জমি, স্বাস্থ্য ইত্যাদি।

সামাজিক সম্পদ: বিদ্যালয়, পাঠাগার, হাসপাতাল ইত্যাদি।

জাতীয় সম্পদ: নদ নদী, খনি ইত্যাদি।

আন্তর্জাতিক সম্পদ: বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর, মহাসাগর সমূহ ইত্যাদি।

f. সম্পদের প্রাপ্যতা অনুসারে:

প্রকৃত বা বিকশিত সম্পদ: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জলবিদ্যুৎ সম্পদ।

সম্ভাব্য সম্পদ: কেনিয়া ও কঙ্গোর সম্ভাব্য জলবিদ্যুৎ সম্পদ।

g. সম্পদের অনুভব বা উপলব্ধি অনুসারে:

বস্তুগত সম্পদ: কয়লা, আকরিক লোহা ইত্যাদি।

অবস্তগত সম্পদ: শিক্ষা, আইন, উদ্ভাবনী ক্ষমতা ইত্যাদি।

নমস্কার , আমরা দেবলীনা ও শুভদীপ । আমি ওয়েবসাইটের লেখক, আমি ভূগোলে স্নাতক করেছি। আমার উদ্দেশ্য শিক্ষক এবং ছাত্র উভয়ের জন্য ভূগোলের গুণমান নোট এবং উপাদান শেয়ার করা এবং আমার দিক থেকে সর্বোপরি সাথে থাকা।

Leave a Comment

error: Content is protected !!