সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে ও এর উদ্দেশ্য উল্লেখ এবং সামাজিক বনসৃজনের উপযুক্ত গাছগুলির বর্ণনা এই লেখাটিতে আলোচনা করা হল। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আশা করি এটি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। তোমরা নিজেরা মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্রশ্নগুলো তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার কর। তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন কমেন্ট করে জানাতে পারো।
Read- উপগ্ৰহ চিত্র কাকে বলে? উপগ্ৰহ চিত্রের ব্যবহার লেখ। [2017]

সামাজিক বনসৃজন:
সমাজের কল্যাণ সাধনের জন্য যখন নির্ধারিত অরণ্য সীমার বাইরে, অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে বিশেষ বিশেষ বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে অরণ্য সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন তাকে সামাজিক বনসৃজন বলে।
✓ অধ্যাপক শাহ্ এর মতে, “গ্ৰামীন জনগণের চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে যেকোনো সংস্থার মাধ্যমেই যেকোনো ধরনের জমিতে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগকে সামাজিক বনসৃজন বলে।”
✓ কৃষি সম্পর্কিত জাতীয় কমিশনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী – “সামাজিক বনসৃজনের লক্ষ্য হল প্রাকৃতিকভাবে রিক্ত জমি অর্থাৎ পতিত জমি ও অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা।”
সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্য:
সামাজিক বনসৃজন বহু উদ্দেশ্য প্রাধান প্রকল্প এর উদ্দেশ্য গুলি হল –
- কৃষিজমির আশেপাশে অব্যবহৃত জমিতে কৃষি বনায়নের কাজে হাত দেওয়া।
- মিশ্র বনভূমি সৃষ্টির মাধ্যমে জ্বালানি কাঠ, ফলমূল, পশু খাদ্যের যোগান দেওয়া।
- পতিত ও পরিত্যক্ত জমিকে ব্যবহার করা।
- আমোদ প্রমোদের উদ্দেশ্যে বনসৃজন করা।
- জনগণের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটানো।
Read- ভারতের ভূপ্রকৃতি সম্পর্কিত অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী।
সামাজিক বনসৃজনের উপযুক্ত গাছ:
সামাজিক বনসৃজণের জন্য বিভিন্ন স্থানে উপযোগী প্রয়োজনীয় গাছের তালিকা নিম্নরূপ –
1. রেললাইন বা রাস্তার দু’পাশে জমিতে মহুয়া, কুসুম, বট, আম, অমলতাশ গাছ লাগানো।
2. নদীর ধার বা খালের দুপাশে, বাঁধ বরাবর জমিতে ইউক্যালিপটাস, বাঁশ, নারকেল গাছ লাগানো হয়।
3. কৃষি বনায়নের উপযুক্ত গাছ গুলি হল সুবাবুল, নিম, করঞ্জ, ইউক্যালিপটাস।
4. পাহাড়ি অঞ্চলে শীতল পরিবেশে তিতাস, কাঠভুজ, ভুটিয়া বাদাম ইত্যাদি গাছ লাগানো যায়।
5. চা, কফি, কোকো বাগানে শিরিষ, তুন, পাইন গাছ লাগানো যেতে পারে।
6. বাড়ির সীমানা বরাবর ইউক্যালিপটাস, নারকেল, সুপারি গাছ লাগানো উচিত।
This post was updated on 2023-02-22 17:57:00.