পারমাণবিক শক্তি বলতে কি বোঝ এবং ভারতের পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কে এই লেখাটিতে আলোচনা করা হল। একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আশা করি এটি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। তোমরা নিজেরা মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্রশ্নগুলো তোমাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো। তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন কমেন্ট করে জানাতে পারো।
পারমাণবিক শক্তি:
পদার্থের পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থিত নিউক্লিয়াসের বিভাজন বা সংযোজন ঘটিয়ে যে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করা হয়, তাকে পারমাণবিক শক্তি বলে।
উৎপাদনের কাঁচামাল:
পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে প্রধান কাঁচামাল গুলি হল – ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম। এছাড়া অন্যান্য কাঁচামাল গুলি হল – বেরেলিয়াম, জারকন, প্লুটোরিয়াম, লিথিয়াম, ইলমেনাইট হাইড্রোজেন ইত্যাদি।
ভারতের পারমাণবিক শক্তি:
ভারতের পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। কারণ এই দেশে পারমাণবিক শক্তির প্রধান উৎস ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়।
স্বাধীনতার যুগেই ভারতে পারমাণবিক শক্তির বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য পরমাণু শক্তি মন্ত্রকের অধীনে 1984 খ্রিস্টাব্দে “Atomic Energy Commission” গঠিত হয়।
বর্তমানে এই পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীনে ভারতে মোট পাঁচটি পরমাণু শক্তি কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। যথা –
পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র | বিদ্যুৎ উৎপাদন(মেগাওয়াট) |
মহারাষ্ট্রের তারাপুর | 1400 |
গুজরাটের কাঁকড়াপার | 440 |
উত্তর-পশ্চিম নারোরা | 440 |
তামিলনাড়ুর কালপক্কম | 440 |
রাজস্থানের কোটা | 440 |
উপরোক্ত শক্তি কেন্দ্র ছাড়া দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ‘Atomic Energy Commission’ এর অধীনে আরো তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। যেমন –
- রাজস্থানের রাওয়াতভাটা
- তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলাম
- কর্ণাটকের কৈগা।
বর্তমানে পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কে আলোচনার জন্য ভারতে বেশ কয়েকটি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
- টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (TIFR), মুম্বাই।
- সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স (SINP), কলকাতা।
- ইনস্টিটিউট ফর প্লাজমা ফিজিকস (IPP), আমেদাবাদ।
- ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স (IP), ভুবনেশ্বর।
- সেন্টার ফর এডভান্সড টেকনোলজি (CAT), কালপক্কম।
This post was updated on 2023-02-22 17:56:27.